প্রথম দুই ওয়ানডে শেষে ১-১ সমতায় থাকায় আজকের তৃতীয় ম্যাচটি ছিল সিরিজের অলিখিত ফাইনাল। আর সেই ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৯ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে অনুষ্ঠিত এই জয় আকারে যেমন বিশাল, তেমনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার হতাশা কিছুটা মুছে দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজদের মুখে হাসি।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৯৬ রান। জবাবে ক্যারিবীয় ব্যাটাররা বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি—মাত্র ৩১ ওভার খেলেই ১১৭ রানে অলআউট হয় তারা। ফলে রানের ব্যবধানে এটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। এর আগে ২০২৩ সালে সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় (পূর্বেরটি ১৬০ রানে, খুলনা ২০১২)।
ব্যাট হাতে শুরুটা করেছিলেন দারুণভাবে সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা মাত্র ১৫২ বলে যোগ করেন ১৭৬ রান। সৌম্য ৮৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রান করে আউট হন, আর সাইফের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা। এই জুটি ভেঙে গেলে বাংলাদেশের রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর হয়।
পরবর্তীতে তাওহিদ হৃদয় ৪৪ বলে ২৮ রান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৫ বলে ৪৪ রান করেন। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান (৮ বলে ১৬) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১৭ বলে ১৭) এর দ্রুত ২৪ বলে ৩৫ রানের জুটি দলকে ২৯৬ রানে পৌঁছে দেয়।
বল হাতে আজ বাংলাদেশের সাফল্যের নায়করা ছিলেন স্পিনাররা। নাসুম আহমেদ ৬ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সমান সংখ্যক উইকেট নেন রিশাদ হোসেন, যদিও তাকে খরচ করতে হয় ৫৪ রান। মিরাজ ও তানভীর ইসলাম তুলে নেন দুটি করে উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একমাত্র আকিল হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন—১৫ বলে ২৭ রান করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ করেন তিনি।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজে ২–১ ব্যবধানে জয় পেল বাংলাদেশ, আর দেখালো, ঘরের মাঠে টাইগারদের স্পিন আক্রমণ এখনও কতটা ভয়ংকর!
এলএনডি/এমআর






