আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করা হচ্ছে : রাশেদ খান

Liberty News Desk
ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তার দাবি, “জামায়াত ও এনসিপি ছাড়া সবাইকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে, আরেকটি ১/১১-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।”

বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি সাতটি নির্দিষ্ট বিষয় তুলে ধরেন, যা তার অভিযোগের পক্ষে যুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।

রাশেদ খানের পোস্ট অনুযায়ী

১। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দলগুলোর সামনে প্রস্তাবনা হাজির করে যে, এক্সপার্টরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে মতামত দিয়েছে।

২। তখন শুধুমাত্র জামায়াত বাদে সব দল একমত হয়। এমনকি এনসিপিও এটার পক্ষে অবস্থান নেয়।

৩। কিন্তু পরেদিন এনসিপি তার অবস্থান পরিবর্তন করে। আমি সেসময় কি বক্তব্য দিয়েছিলাম সবার শোনার কথা।

৪। এরপর থেকে জামায়াত ও এনসিপি একই অবস্থান নিয়েছে মর্মে গণমাধ্যমে নিউজ হয়। কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক আছে এটা গণমাধ্যমে আসুক, সেটি এনসিপি চায়না। তারা সম্পর্ক গোপন রাখতে চায়।

৫। দুই দল যে আলাদা আলাদা অবস্থানে এবং নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নাই, এটি বোঝাতে এনসিপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে পিআর ইস্যুতে সমালোচনায় লিপ্ত হয়। কিছুদিন আগে, একটা অনুষ্ঠানে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমাকে প্রশ্ন করে জামায়াত-এনসিপির সম্পর্কে ফাটল ধরলো, এটা কি আর্টিফিশিয়াল, না সিরিয়াস? মূলত এনসিপির যেসব নেতারা জামায়াত শিবির বিরোধী বক্তব্য দেয়, এটা বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই। এটা রাজনৈতিক কৌশল।

৬। আমি আমার আগের কয়েকটি বক্তব্যে উল্লেখ করেছি, জামায়াত যা করতে পারে না, তা এনসিপিকে দিয়ে করায়। অর্থাৎ এনসিপির মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যে নিয়োগ রয়েছে, তারা নাহিদ ইসলামদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এ বিষয়ে আমার পূর্বের একটি লেখা ছিল—জামায়াত শিবিরের নিয়োগ পলিসির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি।

৭। নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, কিছুদিন আগে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটা পোস্ট করেছেন, নতুন করে আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দলের কোনো দরকার নেই! কেন দিয়েছিলেন নিশ্চয়ই এখন না বোঝার কথা নয়। এনসিপি বুঝে না বুঝে আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দল হয়ে উঠছে। এতে তাদের নিজস্ব কোনো পলিটিক্স তৈরি হচ্ছে না। তাই ক্ষোভ থেকে মাহফুজ আলম এই পোস্ট করেছিলেন।

রাশেদ খান বলেন, “১৪ মাস সময় পেয়েও সরকার এখনো নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেনি। হাতে আছে মাত্র চার মাস। এই সময়ে দুইটি বড় নির্বাচন আয়োজন করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।”

তার মতে, নভেম্বর মাসে গণভোট আয়োজনের আলোচনা আসলে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন বানচালের একটি পরিকল্পনা, যা শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগেরই সুবিধা নিশ্চিত করবে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ঐকমত্য কমিশন যখন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তখন নয় মাস ধরে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করার অর্থ কী? চাইলে আগে থেকেই ৮৪টি বিষয়ে গণভোট নেওয়া যেত।”

পোস্টের শেষাংশে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা লেখেন, “অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জামায়াত ও এনসিপি ছাড়া বাকি সব দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, আরেকটি ১/১১-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।”

এলএনডি/এমআর

……………

For 24/7 Breaking News :

📰 English News : www.libertynewsbd.com
📰 বাংলা সংবাদ : bangla.libertynewsbd.com
📰 Facebook : facebook.com/libertynewsbd
📰 Facebook (বাংলা) : facebook.com/libertynewsbangla
📰 X (Twitter) : x.com/libertynewsbd
📰 Instagram : instagram.com/libertynewsbd
📰 YouTube : youtube.com/@LibertyNewsBD
📰 YouTube : youtube.com/@LibertyNewsPlus

 

TAGGED:
শেয়ার করুন