অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার (২২ আগস্ট) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সরকারের বিবৃতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেত্রী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার অডিও বা বক্তব্য প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও ঘৃণা উসকে দেওয়া বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার কিছু গণমাধ্যম আইন ও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে শেখ হাসিনার একটি বক্তৃতা প্রচার করেছে, যেখানে তিনি বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। এতে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তার বক্তব্য প্রচার করা হলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীর হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা বর্তমানে বিচারাধীন এবং বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আছেন। তার দল আওয়ামী লীগের কার্যক্রমও আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় তাদের বক্তব্য, প্রচারণা বা কার্যক্রম সম্প্রচার করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানিয়েছে, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তারা ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এ সময়ে গণমাধ্যমকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার বা পুনঃপ্রচার গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এলএনডি/এমআর






