১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজকের এই দিনে (২০ আগস্ট) শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান। করাচির মাসরুর বিমানঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণার্থী রশিদ মিনহাজের কাছ থেকে টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান ছিনিয়ে নিয়ে মুক্তাঞ্চলে ফেরার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে পাকিস্তানের থাট্টা এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় তার দেহ। তখন তিনি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকার আগাসাদেক রোডে জন্মগ্রহণ করেন মতিউর রহমান। শৈশব কাটে ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করে। পরবর্তীতে তিনি ভর্তি হন সারগোদা বিমানবাহিনী পাবলিক স্কুলে। ১৯৬১ সালে যোগ দেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে এবং ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পিএএফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কমিশনের পর করাচির মৌরিপুর (বর্তমান মাসরুর) ঘাঁটিতে জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পান এবং টি-৩৩ জেট বিমানের কনভার্সন কোর্স সম্পন্ন করেন।
উল্লেখযোগ্য হলো, ইরানের রানী ফারাহ দিবার সম্মানে পেশোয়ারে অনুষ্ঠিত বিমান মহড়ায় তিনি ছিলেন একমাত্র বাঙালি পাইলট।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অনন্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে। পাকিস্তান সরকার প্রথমে তার দেহাবশেষ করাচির মাসরুর ঘাঁটির একটি সাধারণ কবরস্থানে দাফন করে। দীর্ঘ সময় পর ২০০৬ সালের ২৪ জুন তার মরদেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ২৫ জুন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।
এলএনডি/এমআর






