রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, চাকরিজীবী পুরুষদের পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যেতে পারে তিনটি নির্দিষ্ট শর্তে।
তিনি বলেন, শিশুর জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া, তার যত্নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা এবং মায়ের সেবায় সহায়ক ভূমিকা রাখা—এই তিনটি শর্ত পূরণ করেই পিতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর হতে পারে। প্রয়োজনে এসব শর্ত লিখিত আকারে উল্লেখ করা উচিত।
মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, শিশুদের গুঁড়া দুধ খাওয়ানোর পরিবর্তে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোতে উৎসাহিত করতে হবে এবং এ বিষয়ে সামগ্রিকভাবে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। তার ভাষায়, “সব সময় চিকিৎসকদের দোষারোপ করার সুযোগ নেই। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে যেখানে ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৬০০ রোগীর, সেখানে ৫ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। দেশে প্রায় ৬৫ শতাংশ প্রসব হয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে আর ৩৫ শতাংশ হয় গৃহে। তাই ধাত্রীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, মাতৃদুগ্ধ প্রচারের কাজ শুধু সরকারের নয়; এনজিও, মসজিদের ইমাম, মন্দির ও গির্জার ধর্মীয় নেতারা এবং মিডিয়াকেও এগিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় খুতবা বা আলোচনা সভায়ও এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে। মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা সচেতনতামূলক বার্তা জাতির কাছে পৌঁছে দিতে পারে।
মায়ের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব উল্লেখ করে নুরজাহান বেগম বলেন, মা সুস্থ থাকলেই শিশু মানসম্মত দুধ পাবে। তাই মায়েদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
দেশের আইন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে অনেক আইন থাকলেও তা কার্যকরভাবে মানা হয় না। যেমন সিগারেটবিরোধী কঠোর আইন আছে, কিন্তু আমার ঘর থেকে শুরু করে হাসপাতাল পর্যন্ত মানুষ প্রকাশ্যে ধূমপান করছে। অথচ কেউ তা রোধ করছে না। এ যেন এক অদ্ভুত বাস্তবতা।”
এলএনডি/এমআর






