ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর মঙ্গলবার রাত থেকে গাজার বিভিন্ন স্থানে এই আক্রমণ শুরু হয়।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ এলাকায় এক বন্দুকধারীর হামলায় একজন ইসরাইলি সেনা আহত হওয়ার পর নেতানিয়াহু পাল্টা হামলার নির্দেশ দেন।
এদিকে, হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস অভিযোগ করেছে যে, ইসরাইল সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে। তারা জানিয়েছে, নিখোঁজ এক বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংগঠনটি আরও সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইল যদি নতুন কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেয়, তবে গাজার ভেতরে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং বাকি ১৩ জন বন্দির লাশ হস্তান্তর বিলম্বিত হবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জানি ছোটখাটো সংঘর্ষ ঘটতে পারে, কিন্তু এখনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে। গাজায় এক ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছেন, ইসরাইল নিশ্চয়ই জবাব দেবে—তবুও আমরা আশা করি শান্তি টিকে থাকবে।”
রাফাহতে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছে হামাস।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানায়, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের সর্বশেষ এই হামলা যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, এবং তারা এখনো চুক্তির শর্ত মেনে চলছে।
হামাস নেতা সুহাইল আল-হিন্দি আলজাজিরাকে বলেন, “আমরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধারে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছি। দেরি হওয়ার জন্য ইসরাইলই দায়ী, কারণ তাদের অব্যাহত আগ্রাসন আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত করছে।”
এলএনডি/এমআর






