রাষ্ট্রীয় অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে (৭৬)।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে আটক করে। ওই দিন রাতে কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে রাজধানীর ম্যাগাজিন রিমান্ড কারাগারে নেওয়া হয়।
তবে রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শনিবারই তাকে কারাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন কারা বিভাগের মুখপাত্র জগৎ বীরাসিংহে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ শ্রীলঙ্কান রুপি অপচয়ের মামলা করা হয়েছে। এতে দণ্ডবিধির ৩৮৬ ও ৩৮৮ ধারা এবং সরকারি সম্পত্তি আইনের ৫(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব ধারায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ছয় ঘণ্টার শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট নিলুপুলি লঙ্কাপুরা জানান, প্রতিরক্ষা দল জামিনের যৌক্তিক কোনো কারণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
গ্রেপ্তারের পর বিক্রমাসিংহেকে দেখতে যান রাজনৈতিক মিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বীরা। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেন, “তিনি মানসিকভাবে স্বাভাবিক আছেন এবং জানেন—রাজনীতিতে এ ধরনের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক নয়।” বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমদাসাও তাকে দেখে জানান, তিনি সুস্থ আছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার অনুরোধে বাসা থেকে রান্না করা খাবার আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে গণবিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করলে বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন এবং ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত পদে ছিলেন। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা থাকলেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে স্ত্রী প্রফেসর মাইথ্রীর যুক্তরাজ্যে একটি ব্যক্তিগত সফরে সরকারি অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ থেকেই তার বিরুদ্ধে মামলার সূত্রপাত হয়।
এলএনডি/এমআর






