পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় হামলার আটটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে দুর্নীতির আরেকটি মামলায় আটকাদেশ থাকায় আপাতত তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত জানায়, অন্য কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলে ইমরান খানকে মুক্তি দিতে হবে। খবর দিয়েছে দ্য ডন।
লাহোর হাইকোর্ট থেকে জামিন না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। সেখানে তিনি জামিন পান। তবে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কারাগার থেকে মুক্তি পেতে হলে দুর্নীতি সংক্রান্ত ‘আল-কাদির’ মামলায়ও জামিন নিতে হবে।
২০২২ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা হারান ইমরান খান। এরপর প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরিফ। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তার দল পিটিআইয়ের বহু নেতাও একইভাবে মামলায় জর্জরিত।
২০২৩ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইমরান খানের সমর্থকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সে সময় সেনা সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এরপরই তার বিরুদ্ধে সামরিক স্থাপনায় হামলার মামলা দায়ের করা হয়।
এলএনডি/এমআর






