কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি চায়, থাইল্যান্ড কী ভাবছে

Liberty News Desk
সংগৃহীত ছবি

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে চলমান সংঘাত উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। তৃতীয় দিনের মতো চলছে গোলাগুলি, প্রাণহানি বাড়ছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এক বিবৃতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তার ভাষায়, “আমরা কোনো সংঘাতে জড়াতে চাই না। থাইল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত। যদি তারা সম্মত হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে পারি।”

এই আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া এসেছে। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকর্নদেজ বালানকুরা বলেছেন, “আমরাও উত্তেজনা চাই না। শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী। মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসার প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি। কিন্তু কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কোনো স্পষ্ট সাড়া আসেনি।”

উভয় পক্ষই সংঘর্ষ শুরু করার জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। থাইল্যান্ড অভিযোগ করছে, কম্বোডিয়া সীমান্তের ভেতরে রকেট ও কামান নিক্ষেপ করেছে, যার জবাবে থাই সেনাবাহিনী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া বলছে, থাইল্যান্ডই প্রথম হামলা চালিয়েছে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সংঘাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তাদের সাতজন বেসামরিক নাগরিক ও পাঁচজন সেনা সদস্য রয়েছেন।থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির তিনটি সীমান্তঘেঁষা প্রদেশে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এই উত্তেজনা যদি দ্রুত প্রশমিত না হয়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে রূপ নিতে পারে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুটো দেশই পর্যটননির্ভর অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় চলমান সংঘর্ষ তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াতেও বড় ধাক্কা দিতে পারে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এরই মধ্যে এক জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশ বা সংস্থা সরাসরি মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেয়নি। যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি বলেই জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।

এলএনডি/এমআর

For 24/7 breaking news:
🌐 English News – www.libertynewsbd.com
🌐 বাংলা সংবাদ – bangla.libertynewsbd.com
📌 Facebook – www.facebook.com/libertynewsbd/
📌 Facebook (বাংলা) – www.facebook.com/libertynewsbangla/
📌 X (Twitter) – www.x.com/libertynewsbd
📌 Instagram – www.instagram.com/libertynewsbd
📌 YouTube – www.youtube.com/@LibertyNewsBD

TAGGED:
শেয়ার করুন