চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূ লাইলী সুলতানা কুমকুম হত্যা মামলায় তার স্বামী শুকুর আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় শুকুর আলীর বাবা আসান মল্লিক ও মা সাহেদা খাতুনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শুকুর আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার এনায়েতপুর স্কুলপাড়ার আসান মল্লিকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর আলমডাঙ্গার এনায়েতপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূ কুমকুমকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের বাবা আলমডাঙ্গা থানায় শুকুর আলী, তার বাবা আসান মল্লিক ও মা সাহেদা খাতুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত শুকুর আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন, তবে অপর দুই আসামিকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাসের আদেশ দেন।
এলএনডি/এমআর






