ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এক নারী কনস্টেবল সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। তবে পরবর্তীতে আদালতে তিনি জানিয়েছেন, আসামিকে বিয়ে করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে চান।
আসামি কনস্টেবল সাফিউর রহমানকে শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার বাদী ওই নারী কনস্টেবল অভিযোগ করেছেন, প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে রোববার শুনানিতে আদালত রিমান্ড আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জানান, উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক এবং পরস্পরের সম্মতিতে বিয়েতে রাজি হয়েছেন। এমনকি আদালতে এক কাজীকে আনা হয় এবং এজলাসের পেছনে বিয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলেও আসামি বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিয়ে আর সম্পন্ন হয়নি।
এসময় নারী কনস্টেবল আদালতে বলেন, তিনি ঝামেলা চান না, সংসার গড়তে চান।
অন্যদিকে আসামি সাফিউর সাংবাদিকদের জানান, তিনি ‘চাপের মধ্যে’ আছেন এবং এখনো বিয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
আদালতে জানা যায়, সাফিউরের গ্রামের বাড়িতে আরও একজন স্ত্রী রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিচারক প্রশ্ন করলে তিনি জানান, শরিয়াহ মোতাবেক একাধিক বিয়েতে সমস্যা নেই।
এ ঘটনায় ঢাকার পুলিশ সুপার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুনানির পর বিষয়টি নিয়ে নারী কনস্টেবলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মান-সম্মান যেহেতু গেছে। সতীনের সংসার করতে হলে করবো।”
এলএনডি/এমআর






