সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে আগামী ১ নভেম্বর থেকে রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় কুলাউড়া জংশন স্টেশনের ভিআইপি ওয়েটিং রুমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে রেলওয়ে কর্মকর্তারা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও আন্দোলনকারীরা তাতে রাজি হননি। পরে তারা ঘোষণা দেন, ১ নভেম্বর থেকে সিলেট বিভাগের সব রেলপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চলবে। বৈঠক শেষে কুলাউড়া স্টেশনে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তারা।
মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, “আট দফা দাবিতে প্রায় তিন মাস ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চললেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। সিলেট বিভাগ উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে আছে, অথচ আয়ের দিক থেকে রেল বিভাগে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। দাবি পূরণ না হলে পুরো সিলেট অচল করে দেওয়া হবে।”
‘আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’ এর আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর কুলাউড়ায় অবস্থান কর্মসূচির সময় ট্রেন আটকে দিলে রেলওয়ের জিআরএম মহিউদ্দিন আরিফ প্রতিশ্রুতি দেন, ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। পরে আন্দোলনকারীরা ট্রেন ছেড়ে দেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে মহিউদ্দিন আরিফের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক হলেও কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি হয়নি। তাই আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধে যাচ্ছি এবং সিলেটবাসীকে ১ নভেম্বর থেকে ট্রেন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
আন্দোলনকারীদের আট দফা দাবি
১. সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালু।
২. সিলেট-আখাউড়া সেকশন সংস্কার ও ডুয়েলগেজে উন্নীতকরণ।
৩. সিলেট-আখাউড়া লোকাল ট্রেন চালুর ব্যবস্থা।
৪. সিলেট অঞ্চলের বন্ধ রেলস্টেশনগুলো পুনরায় চালু করা।
৫. কুলাউড়া স্টেশনে টিকিট কোটা বৃদ্ধি।
৬. সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেসের আজমপুরের পরবর্তী যাত্রাবিরতি বন্ধ।
৭. সব ট্রেনে নতুন ইঞ্জিন সংযোজন।
৮. যাত্রীসংখ্যা অনুযায়ী অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা।
এলএনডি/এমআর






