নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-শিশুসহ দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে কাচপুর ও ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি পূর্মুবপাড়া এলাকায় জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের সবাইকে দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন—তাহেরা (৬৫), হাসান (৩৭), সালমা (৩০), মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪), রাইয়ান (১ মাস), আসমা (৩৫), তিসা (১৬) ও আরাফাত (১৩)।
স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের পর আহতদের প্রথমে ভ্যান ও অটোরিকশায় করে সাইনবোর্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলে, বাকি আটজনকে রাখা হয়েছে বার্ন ইনস্টিটিউটে।
প্রতিবেশী মো. মামুন জানান, দগ্ধ হাসানের শ্বশুর আব্দুর রশিদ এই বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। কিছুদিন আগে তার মৃত্যু হলেও তার মেয়ে-জামাই ও নাতি-নাতনিরা ভাড়া থেকে আসছিলেন। দুর্ঘটনায় দুটি কক্ষের বাসিন্দারাই দগ্ধ হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণের কারণেই এ আগুন লাগে।
অগ্নিদগ্ধ তাহেরার বোন মরিয়ম কালবেলা জানান, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ বিকট শব্দে ঘরে আগুন ধরে যায় এবং টিনের চালাও ভেঙে পড়ে। দগ্ধ সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্ধারের দলাশ এলাকায়।
আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মীরন মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে ফ্রিজ বিস্ফোরণ হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুর আলম জানান, তদন্ত শেষে ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে।
এলএনডি/এমআর






