গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী সংযোগ সড়কে তিস্তার ওপর নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধনের পরদিনই নেমে এসেছে অন্ধকার। দুর্বৃত্তরা ল্যাম্পপোস্টের বিদ্যুতের তার ও কানেক্টর পিন কেটে নেওয়ায় সেতুটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী। তিনি জানান, উদ্বোধনের পরদিন রাতেই বৈদ্যুতিক তার ও সংযোগ সরঞ্জাম চুরি হয়, ফলে সেতুটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
এর আগের রাতেই সেতুতে লাইট না থাকায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয়রা অন্ধকারে ঢাকা সেতুর ছবি ছড়িয়ে দেন।
চলাচলকারীরা জানান, সন্ধ্যার পর আলো না থাকায় সেতুতে সবসময় দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাদের দাবি, দ্রুত নতুন সংযোগ দিয়ে আলোকসজ্জা ফিরিয়ে আনা হোক এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন চুরি বা নাশকতার ঘটনা না ঘটে সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বিষয়টি জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। সেতুতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনসহ নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের জন্যও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট দুপুরে উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরপর থেকেই প্রতিদিন হাজারো মানুষ সেতুটি দেখতে আসছেন। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, দ্রুত সেতুটি আবার আলোয় আলোকিত হয়ে নিরাপদ পরিবেশে উপভোগযোগ্য হয়ে উঠুক।
এলএনডি/এমআর






