শহীদ সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)। তারা বলেন, এ হত্যার বিচারে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুর চৌরাস্তার মোড়ে শহীদ তুহিনের স্মৃতিকে অম্লান রাখার লক্ষ্যে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে “শহীদ সাংবাদিক তুহিন চত্ত্বর” ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁর স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখা হয়।
অনুষ্ঠানে বিএমএসএফ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর আনুষ্ঠানিকভাবে চত্ত্বর ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, “তরুণ সাংবাদিক তুহিন ছিলেন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর রক্ত বৃথা যাবে না। সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ থেকে এ হত্যার বিচার আদায় করবে।” পরে তিনি বৃক্ষরোপণ করেন এবং শহীদ তুহিনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমএসএফ ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোস্তাক আহমেদ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। উপস্থিত ছিলেন—ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য আমজাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাউছ উর রহমান, সহ-সম্পাদক নুরুল হুদা বাবু, দফতর বিষয়ক সমন্বয়ক মো. আল মাসুম খান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা সোহাগ ভুঁইয়া, শেখ রাজা, মরিয়াম আক্তার মারিয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান, শ্রীপুর শাখার সভাপতি আব্দুল বাতেন বাচ্চু, স্থানীয় সাংবাদিক নেতা মৃণাল কান্তি চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাংবাদিক। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতা তারিক লিটু।
বিএমএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন তরুণ সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক অমর নাম হয়ে থাকবেন। তিনি সর্বদা বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতার উদাহরণ স্থাপন করেছেন। তাঁকে স্মরণ করে ভবিষ্যতেও নিয়মিত কর্মসূচি নেওয়া হবে।
কর্মসূচি শেষে সংগঠনের নেতারা গাজীপুরের শ্রীপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা ও ত্রিশালে পথসভায় অংশ নেন। দুপুরে তাঁরা শহীদ তুহিনের নিজ গ্রাম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, কবর জিয়ারত করেন এবং দোয়া-মিলাদ ও তবারক বিতরণ করেন।
এলএনডি/এমআর






