মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় জলদস্যু শুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ হত্যার ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজনের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে লালু-সৈকত ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের অন্তত ৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৮ জুলাই সকালে মেঘনা নদীর বড় কালীপুরা এলাকায় প্রতিপক্ষ লালু-পিয়াস গ্রুপের গুলিতে নিহত হন আলোচিত জলদস্যু মান্নান। এ ঘটনায় হৃদয় বাঘসহ আরও ৬ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধ হৃদয় বাঘ (২৮) গত শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রোববার বিকেলে তার জানাজা ও দাফনের পর সন্ধ্যায় সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে লালু, সৈকত ও তাদের স্বজনদের ৮টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি ঘরের মধ্যে ৫টি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, আর বাকি ৩টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও নিহত হৃদয় বাঘের আত্মীয় আমিরুল ইসলাম মেম্বার বলেন, ‘লালু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ছিল। মান্নান ও হৃদয় হত্যার নেপথ্যেও সে জড়িত।’
অন্যদিকে, ভুক্তভোগী লালুর মা সানোয়ারা বেগম দাবি করেন, ‘হামলাকারীরা আমাদের আটটি ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারা আমাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল।’
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘লালু ও তার পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশী কয়েকজনের ঘরও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদন্ত চলছে।’
এলএনডি/এমআর






